আল্লাহর সাথে শির্ক করা, তা সূক্ষ্ণ হউক বা বৃহৎ হউক এবং তা ছোট হউক বা বড় হউক। কারণ, শির্ক হলো বড় যুলুম এবং তা হলো সব ফাসাদ ও অন্যায়ের মূল যার দ্বারা অন্তরের ওপর যুলুম করা হয়ে থাকে এবং মৃত্যু ও ধ্বংস অনিবার্য করে দেয়।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“এতএব, আল্লাহ যাকে হিদায়াত করতে চান, ইসলামের জন্যে তার অন্তঃকরণ খুলে দেন, আর যাকে পথভ্রষ্ট করার ইচ্ছা করেন, তার অন্তঃকরণ খুব সংকুচিত করে দেন, এমনভাবে সংকুচিত করেন যে মনে হয় যেন সে আকাশে আরোহণ করছে। এমনিভাবেই যারা ঈমান আনে না আল্লাহ তা‘আলা তাদের ওপর কলুষ চাপিয়ে দেন।”
[সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১২৫]
আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,
“প্রকৃতপক্ষে তারাই শান্তি ও নিরাপত্তার অধিকারী এবং তারাই সঠিক পথে পরিচালিত, যারা নিজেদের ঈমানকে যুলুমের সাথে (শির্কের সাথে) সংমিশ্রিত করে নি।”
[সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ৮২]
যে সমস্ত ঈমানদার তাদের ঈমানের সাথে সত্যবাদী এবং ঈমানের সাথে তারা শির্ককে মিশ্রিত করে নি ঐ সকল লোকদের জন্যই রয়েছে বিশ্বজাহানের রবের পক্ষ থেকে পরিপূর্ণ নিরাপত্তা ও হিদায়াত। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“যারা অবিশ্বাস করেছে, আমরা সত্বর তাদের অন্তরে ভীতি সঞ্চার করবো, যেহেতু তারা আল্লাহর সাথে সে বিষয়ে শির্ক করেছে, যে বিষয়ে তিনি কোনো প্রমাণ অবতীর্ণ করেন নি। আর যালেম তথা শির্ককারীদের পরিণাম কতই না মন্দ!”
[সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৫১]
তাই অন্তরের নিরাপত্তা ও যথার্থতা একমাত্র আল্লাহর তাওহীদ বা একত্ববাদ ছাড়া সম্ভব নয়, যার কোনো শরীক নেই। মানুষের মধ্যে যে পরিমাণ তাওহীদের সত্যতা এবং বিশ্বাসের যথার্থতা থাকবে সে পরিমাণ তার জন্য অন্তরের নিরাপত্তা ও সততা হাসিল সম্ভব হবে। অন্তর সৃষ্টির উদ্দেশ্য হলো যে, সে তার সৃষ্টিকর্তাকে চিনবে এবং তাঁকে ভালোবাসবে এবং তাঁর তাওহীদকে প্রতিষ্ঠিত করবে এবং আল্লাহই তার কছে একমাত্র প্রিয় হবে এবং অন্য সবকিছু থেকে অধিক সম্মানের ও মর্যাদাবান হবে। অতএব, অন্তরের পরিশুদ্ধতার মাধ্যমেই আল্লাহর পরিচয়, তাঁর ভালোবাসা ও মর্যাদা অর্জিত হবে, যে উদ্দেশ্যে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর অন্তর নষ্ট হবে এর বিপরীত কর্ম দ্বারা। তাই তাওহীদ ছাড়া আদৌ অন্তরের সততা ও পরিশুদ্ধতা অর্জিত হবে না।
আরো পড়ুনঃ সাতটি বহুল প্রচলিত শিরক (Shirk)
0 Comments
Trackbacks and Pingbacks
[…] মা, মা এবং বাবাআল্লাহর সাথে শির্ক করা Quran, ইসলামShare Facebook Twitter Pinterest […]