মৃত মানুষের মুখে হাসির চিহ্ন কি সেই ব্যাক্তির ‘হুসন আল খাতিমাহ’ (মুমিন অবস্থায় পার্থিব জীবনের সমাপ্তি)এর পরিচায়ক?!! Leave a comment


শাইখ মুহাম্মদ আল ওয়াসসবি

হুসন আল খাতিমাহ এর বিষয়টি বেশ কয়েকটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। অতএব, আমাদেরকে কারো খেয়াল খুশিমত ব্যাখ্যা অথবা এতে নতুন কিছু যোজন বিয়োজন না করে পরিপুর্ণভাবে হাদিসের উপর নির্ভর করা জরুরী। অনেক আলেম এর সম্বন্ধে তাদের মতামত দিয়েছেন। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন আলামেদের এই মতামতের উপর ভিত্তি করে নিজেরা অনেক কিছুই ধরে নেন বা অনুমান করে নেন। যা কোনক্রমেই সঠিক নয়। কোন কোন অভিমত অনুসারে কোন ব্যক্তির হুসন আল খাতিমাহ্ এর অন্যতম লক্ষণ হল সেই মৃত ব্যক্তির দেহ হবে হাল্কা। তাই আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা মৃতব্যক্তির খাটিয়া কাঁধে বহন করার সময় হাল্কা অনুভব করলে বলে থাকেন যে সেই ব্যক্তির হুসন আল খাতিমাহ চিহ্ন প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু এটা আসলে কোন প্রমাণ নয়। কারণ মৃতব্যক্তি প্রকৃতপক্ষেই হাল্কা গড়নের হতে পারে। আর কোন ব্যক্তি আসলেই নেক্কার না বদকার তা জানা বা উপলব্ধি করা সম্পূর্ণ অন্য ব্যাপার।  
কোন মৃত ব্যাক্তির যদি ওজন বেশী হয় বা তার শরীর মোটা অ ভারী হয়ে থাকে তার মানে এই নয় যে তিনি নেককার নন, বদকার। 
অতএব আমাদের উচিত হবে এধরনের কথা বা ধ্যান ধারনা থেকে দূরে থাকা। হুসন আল খাতিমাহ সেই সব ব্যাক্তির ক্ষেত্রেই প্রকাশ পেতে পারে যারা সাওম পালন, হজ্ব করা, সালাত আদায় অথবা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা অবস্থায় মারা যায়। যদি এ ধরনের কোন ঘটনা বা ব্যাপার আমাদের সামনে আসে তাহলে আমাদের বলা উচিত, ‘মাশাল্লাহ!’ এবং সেই ব্যাক্তির জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করা। কিন্তু কোনক্রমেই সেই ব্যাক্তির জান্নাত লাভের ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেয়া যাবেনা। হুসন আল খাতিমাহর বিপরীত হল সু আল খাতিমাহ। যখন কেউ আল্লাহর নাফারমানী করা অবস্থায় মারা যায়, তখন তার মাঝে সু আল খাতিমাহর চিহ্ন প্রকাশ পায়।  এ ধরনের ব্যাক্তির ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান হবে, আমরা সে ব্যাক্তিকে জান্নাতিও বলবনা আবার জাহান্নামী ও বলবনা।   
Source: http://www.ajurry.com/vb/attachment.php?attachmentid=30411&d=13750230

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

SHOPPING CART

close