মিস্ওয়াক রাসুলের গুরুত্বপূর্ণ আদেশ
যদি আমার উম্মতের উপর কষ্ট না হয়ে যেত, তাহলে আমি সবাইকে প্রত্যেক সালাতের আগে মেসওয়াক করার আদেশ দিতাম।
সহিহ আল বুখারি, ৮৪৭।
আমি তাদেরকে প্রত্যেক ওযুর আগে মেসওয়াক এর জন্য আদেশ দিতাম।
সহীহ, মুসনাদে আহমাদ ৭৪৬১।
যদি আমার জাতির উপর কষ্ট না হতো তাহলে প্রত্যেক ওযুর পূর্বে আমি তাদেরকে মেসওয়াক করার আদেশ দিতাম।
আল মু’যাম আল আওসাত, ১২৬০।হাদীসটি সহিহ।
তুমি অপরিস্কার দাত নিয়ে আমার কাছে এসেছ? যাও, মেস্ওয়াক করে আসো। যদি আমার জাতির উপর কষ্ট না হতো, তাহলে আমি তাদেরকে প্রত্যেক সালাতের জন্য মেসওয়াক করা ফরয করে দিতাম, যেভাবে সালাতের জন্য উযু ফরয করা হয়েছে।
মুসনাদ আল বাযযার, ১৩০৩, সহীহ।
মিস্ওয়াক হল রব্বের সন্তুষ্টির কারণ
মেসওয়াক মুখ পরিষ্কার রাখে এবং রবের সন্তুষ্টির কারণ।
তোমরা অবশ্যই মেসওয়াক করবে, কারণ এটা মুখে সুগন্ধ আনয়ন করে এবং তোমাদের রব্বকে সন্তুষ্ট করে।
ঘরে ঢুকেই মিস্ওয়াক করা সুন্নত
তিনি সর্বপ্রথম মেসওয়াক করতেন।
রাসুল (সাঃ)তাহাজ্জুদের সালাতের জন্য ঊঠে মিস্ওয়াক করতেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাহাজ্জুদের জন্য রাতে জাগতেন, তখন তিনি মেসওয়াক করতেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রাত্রি জাগতেন তখন তিনি দুই দুই রাকাত করে সালাত আদায় করতেন এবং এরপর মেসওয়াক ব্যবহার করতেন।
মিস্ওয়াকের ব্যাপারে কুরআনে আয়াত অথবা ওহী নাযিল হবার আশঙ্কা ছিল
আমি মেসওয়াকের জন্য এত বেশি আদিষ্ট হয়েছি যে, আমার মনে হয়েছে, এর ব্যাপারে কুরআনে কোন আয়াত নাযিল হবে অথবা আমার উপর আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহী চলে আসবে।
আমাকে এত বেশি মেসওয়াক করার আদেশ করা হয়েছে যে, আমার আশঙ্কা হচ্ছিল হয়তো বেশী বেশী মিস্ওয়াক করার কারণে আমার দাত খসে পড়বে।
মিস্ওয়াক করলে ফেরেস্তারা কি করেন?
নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দা যখন মিস্ওয়াক করে সালাতে দাঁড়ায়, তখন একজন ফেরেশতা তার পিছনে এসে দাঁড়ায় এবং তার তেলাওয়াত শুনতে থাকে। এরপর সেই ফেরেশতা তার কাছে আসতে আসতে এত কাছে আসে যে, সেই ফেরেস্তার মুখ আর সালাত আদায়কারীর মুখ একত্র হয়ে যায়। ফলে সেই ব্যক্তির মুখনিঃসৃত তেলাওয়াত, সরাসরি সেই ফেরেস্তার অন্তরে প্রবেশ করে।অতএব তোমরা কোরআন তেলাওয়াতের জন্য মুখ পাক রাখ।
মুসনাদ আল বাযযার, ৫৬৮ হাদীসটি হাসান।
লেখাটি শেয়ার করে অন্য এক মুসলিম ভাই/বোনকে আমল করার সু্যোগ করে দিন।