বিবি ও রুজি! Leave a comment

আল্লাহ তা‘আলা অবিবাহিত দাসদাসীকে বিয়ে করিয়ে দিতে বলেছেন। বিয়ের উপযুক্ত হলে আর দেরী করা ঠিক নয়। তাদেরকে বিয়ে করিয়ে দিলে, রিযিকের ভয়? আল্লাহ তা‘আলা এর জবাব দিচ্ছেন,
إِن يَكُونُوا فُقَرَاءَ يُغْنِهِمُ اللَّهُ مِن فَضْلِهِ

তারা অভাবগ্রস্ত হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন (নূর ৩৩)।
.
এটা কুরআনি আশ্বাস। আল্লাহর ওয়াদা। বিয়ের পর দারিদ্রের ভয় থাকবে না। বিয়ে মানেই রিযিক। শুধু তাই নয়, যত বিবি তত রুজি। বিবি বাড়ার সাথে সাথে রিজিকও বাড়তে থাকবে। প্রথম বিবি যেমন আল্লাহর পক্ষ থেকে তার রিযিক নিয়ে আসবে, পরের বিবিরাও নিজের রিযিক নিয়ে আসবে।
.
সূরা নিসার বিখ্যাত আয়াতে বলা হয়েছে,


فَانكِحُوا مَا طَابَ لَكُم مِّنَ النِّسَاءِ مَثْنَىٰ وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ ۖ


নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের পছন্দ হয় বিবাহ কর দুই-দুইজন, তিন-তিনজন অথবা চার-চারজনকে।
.
একাধিক বিয়ে করলে, বেইনসাফের আশংকা থাকলে?


فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تَعْدِلُوا فَوَاحِدَةً أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ۚ


অবশ্য যদি আশঙ্কা কর যে, তোমরা তাদের (মানে স্ত্রীদের) মধ্যে সুবিচার করতে পারবে না, তবে এক স্ত্রীতে অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীতে (ক্ষান্ত থাক)
.
আমরা বলতে পারি, এক বিবি হোক আর একাধিক বিবি হোক, রিযিকের ঘাটতির ভয় নেই। বিয়ের সাথে দারিদ্র্যের সম্পর্ক নেই বরং বিয়ের সাথে রিযিকের সম্পর্ক। আয়াতের শেষে বলা হয়েছে,


ذَٰلِكَ أَدْنَىٰ أَلَّا تَعُولُوا


এতে তোমাদের পক্ষপাতিত্ব না করার সম্ভাবনা বেশি।
.
এটা ছিল (أَلَّا تَعُولُوا)-এর সর্বজনমান্য অর্থ। এছাড়া আরেকটা অর্থও আল্লামা সুয়ূতী রহ. তার বিখ্যাত তাফসীরে, সুফইয়ান ইবনে উয়াইনাহ রহ.-এর বরাতে উল্লেখ করেছেন। তিনি অর্থ করেছেন,


ذَٰلِكَ أَدْنَىٰ أَلَّا تَعُولُوا


এতে তোমাদের দরিদ্র না হয়ে যাওয়ার (ألّا تَفْتَقِرُوا) সম্ভাবনা বেশি।
.
মানে বিয়ে করলে দরিদ্র হবে না। সূরা নূরে জানলাম, বিয়ে করলে, রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহ তা‘আলা নিবেন। সূরা নিসায় জানলাম, বিয়ে করলে গরীব না হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সুতরাং এই প্রশ্ন অবান্তর, 


-বিয়ে করলে বউ চালাবে কী করে?


বরং এমন প্রশ্ন করা কুরআন বিরোধী কাজও বটে।

(লেখকঃ আতিকুল্লাহ)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

SHOPPING CART

close