১। গুনাহের দিকে আহ্বানকারী বন্ধুঃ
বন্ধু যদি সিগারেট সামনে দিয়ে বলে, “একটা টান দিয়ে দ্যাখ না দোস্ত! ভাল লাগবে।” তার ব্যাপারে সাবধান হউন। যে বন্ধু আপনাকে গুনাহের দিকে দাওয়াত দিতেই থাকে, তার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন এবং সেই গুনাহে আপনিও লিপ্ত হওয়ার আগে সেই বন্ধুর সাথে সম্পর্কের যবনিকা টানুন।
মানুষ হিসেবে আমরা সবাই গুনাহগার। কেউই আমরা শতভাগ পবিত্র নই। কিন্তু তাই বলে যে বন্ধু গুনাহে লিপ্ত এবং এই জন্য সে অনুতপ্ত, আর যে বন্ধু গুনাহে লিপ্ত কিন্তু তাতে বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত নয়; বরং সেই গুনাহে উলটা দাওয়াত দেয়, এই দুই বন্ধু কখনই এক হতে পারেনা।
এক্ষেত্রে প্রথমজনকে গুনাহ থেকে ফিরে আসতে সাহায্য করুন। দ্বিতীয়জনকে উপেক্ষা করুন।
২। উন্নাসিক মানসিকতা সম্পন্ন বন্ধুঃ
অহঙ্কার এবং অন্যকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা কবীরা গুনাহ। বর্তমান সমাজের অরাজকতার অন্যতম কারণ এটা। একজন ভাল মুসলিম হতে হলে এধরনের মানুষ থেকে দূরে থাকতে হবে, দাওয়াতের উদ্দেশ্যে তাদের সাথে অন্তরঙ্গ হতে হবে। ভাল মুসলিম হতে হলে বিনয়ের কোন বিকল্প নেই।
৩। বদ নযর দেয় যে বন্ধুঃ
যে বন্ধু আপনার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়, মন থেকে খুশী হতে পারেনা; তার ব্যাপারে সতর্ক হউন। প্রকৃত বন্ধু সবসময় আপনার সাফল্য চাইবে। নিজের দিকে একবার খেয়াল করে দেখুন। আপনি ও মন থেকে আপনার বন্ধুর সাফল্য চাচ্ছেনতো?
৪। যে বন্ধু তার যবানকে নিয়ন্ত্রনে রাখেনা:
৫। শিশুসুলভ বন্ধুঃ
আপনার বন্ধুটি কী ত্রিশোর্ধ হয়েও কি বাসার বিলগুলো কিভাবে পরিশোধ করতে হয় জানেনা? সেকি এক জায়গায় বেশী দিন চাকরী করতে পারেনা? তাকে কী এখনও তার মা দেখাশোনা করে রাখেন? মনে রাখবেন, আপনার এই শিশু বন্ধুটি কখনই পুরুষ হয়ে উঠবেনা। এমন বন্ধু কিন্তু আপনাকে সামনে আগাতে বাঁধা দিবে। আপনার বিপদের সময় এদেরকে পাশে পাবেন না। আপনার কোন মহৎ কাজে এরাই সবসময় আপনাকে ভয় দেখাবে, পিছু হটাবে। বন্ধু হিসেবে আপনার দরকার পরিপূর্ণ মানুষ, বিরাট শিশু নয়।
.
৬। অলস বন্ধুঃ
৭। হতাশ বন্ধুঃ
সম্পর্ক ছেদ! এটাতো ঠিক না??!!
আপনাদের এক্ষেত্রে এই বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। ভাবতে পারেন হয়তো আমি সম্পর্ক ছেদের কথা বলছি। ব্যাপারটি আসলে তা নয়। আমি সম্পর্ক একেবারে শেষ করে দিতে বলছিনা। আমি বলছি তাদের সাথে অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব না করতে। তাদেরকে এত কাছে না নিয়ে আসতে যাতে আপনি নিজেও তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যান। তাদের সাথেই অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব করুন যারা তাকওয়ার অধিকারী।
একটি হাদিস দিয়ে লেখা শেষ করি।
রাসুল (সাঃ) বলেছেন,
প্রত্যেকেই তার বন্ধুর দ্বীন অনুসরণ করে থাকে। অতএব, তোমরা কাউকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সতর্ক হও। (আবু দাউদঃ ৪৮৩৩)।