তাহাজ্জুদ নামাযের ১০ টি ফাযায়েল ও মাসায়েল Leave a comment

তাহাজ্জুদ এর নামাজ কি?

তাহাজ্জুদ নামাজ হচ্ছে একটি নফল ইবাদত তবে নফল ইবাদতের মধ্যে এটি অন্যতম একটি ইবাদত। এই নামাজ ঘুম নষ্ট করে গভীর রজনীতে পড়তে হয় তার জন্য এর সওয়াব ও ফজিলত বেশি। অনেকে চান মনের বাসনা পূর্ন করতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে কিন্তু নিয়ম সময় বা নিয়ত না জানা থাকায় পড়তে পারেন না।

তাহাজ্জুদ নামাযের ওয়াক্ত:

তাহাজ্জুদের অর্থ হল ঘুম থেকে উঠা। কুরআনে রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদের যে তাকীদ করা হয়েছে তার মর্ম এই যে, রাতের কিছু অংশ ঘুমিয়ে থাকার পর উঠে নামায পড়া। তাহাজ্জুদের মসনূন সময় এই যে, এশার নামাযের পর লোকেরা ঘুমাবে। তারপর অর্ধেক রাতের পর উঠে নামায পড়বে। নবী (সাঃ) কখনো মধ্য রাতে, কখনো তার কিছু আগে অথবা পরে ঘুম থেকে উঠতেন এবং আসমানের দিকে তাকিয়ে সূরা আলে-ইমরানের শেষ রুকুর কয়েক আয়াত পড়তেন। তারপর মেসওয়াক ও অযু করে নামায পড়তেন।

তাহাজ্জুদ নামাযের সঠিক সময়:

অর্ধ রাতের পরে। রাতের শেষ তৃতীয়াংশে পড়া উত্তম। তাহাজ্জুদের মুল সময় মুলত রাত ৩টা থেকে শুরু হয়ে ফজরের আযানের আগ পর্যন্ত থাকে। তবে ঘুম থেকে না জাগার সম্ভাবনা থাকলে ইশা সালাতের পর দু রাকআত সুন্নত ও বিতরের আগে তা পড়ে নেয়া জায়েয আছে। তবে পরিপূর্ণ তাহাজ্জুতের মর্যাদা পেতে হলে, এশার নামাযের পর ঘুমিয়ে রাত ২টা বা ৩টার দিকে উঠে নামায আদায় করতে হবে।

তাহাজ্জুদের গুরুত্ব ও ফযীলত:

ফরয নামাজের পর অন্যান্য সুন্নাত ও নফল সব নামাযের মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ফযীলত সবচেয়ে বেশী (আহমাদ, মেশকাত ১১০ পৃঃ)

(আহমাদ, মেশকাত ১১০ পৃঃ)

রাসুল (সাঃ) বলেন,

আমাদের প্রভু পরওয়ারদিগার তাবারাকা ওয়া তা’আলা প্রত্যেক রাত্রে দুনিয়ার আসমানে (যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়) নেমে আসেন যখন রাত্রের এক তৃতীয়াংশ বাকী থাকে । অতঃপর তিনি বলেন, তোমাদের কে আমাকে ডাকবে! আমি তার ডাকে সাড়া দেব । কে আমার কাছে কিছু চাইবে আমি তাকে তা দেব, কে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে আমি তাকে ক্ষমা করে দেব

(মুসলিম, মেশকাত ১০৯ পৃঃ)

রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন,

যে ব্যক্তি রাত্রে ঘুম থেকে জেগে তাহাজ্জুদের নামায পড়ে এবং সে তার স্ত্রীকেও ঘুম থেকে জাগিয়ে নামায পড়ায় এমনকি সে যদি জেগে না উঠে, তবে তার মুখে খানিকটা পানি ছিটিয়ে দেয় তাহলে তার প্রতি আল্লাহ রহমত বর্ষণ করে থাকেন । অনুরুপ কোন মহিলা যদি রাত্রিকালে জাগ্রত হয়ে তাহাজ্জুদ নামায পড়ে এবং সে তার স্বামীকে নামাযের জন্য জাগায় এমনকি স্বামী না জাগলে স্ত্রী তার মুখে পানি ছিটিয়ে তার ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেয় তাহলে তার প্রতিও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হতে থাকে

(আবু দাউদ, নাসায়ী, মেশকাত ১০৯ পৃঃ)

রাসুল (সাঃ) বলেন,

আল্লাহর নিকট অতি প্রিয় নামায দাউদ (আঃ) এর নামায । তিনি অর্ধেক রাত ঘুমাতেন এবং রাতেন তৃতীয় ভাগে নামাযে দাঁড়াতেন আর ৬ষ্ঠ ভাগে আবার ঘুমাতেন

(বুখারী, মুসলিম, মেশকাত ১০৯ পৃঃ)

তাহাজ্জুদ পড়ার নিয়ম:

তাহাজ্জুদ নামায পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন সুরা নেই। যে কোন সুরা দিয়েই এই নামায আদায় করা যাবে। তবে যদি বড় সুরা বা আয়াত মুখুস্ত থাকে তবে, সেগুলো দিয়ে পড়াই উত্তম। কারন রাসুল (সাঃ) সব সময় বড় বড় সুরা দিয়ে তাহাজ্জুদ নামায আদায় করতেন। তাই আমাদেরও বড় সুরা মুখুস্ত করে, তা দিয়ে তাহাজ্জুত নামাদ আদায় করা উচিৎ।
যাইহোক, বড় সুরা মুখুস্ত না থাকলে যে কোন সুরা দিয়েই নামায আদায় করা যাবে। নিয়ম হল ২রাকাত করে করে, এই নামায আদায় করা। প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতিহা পড়ার পর, অন্য যে কোন সুরা মিলানো। এভাবেই নামায আদায় করতে হবে।
আল্লাহ, আমাদের সবাইকে তাহাজ্জুদের পরিপূর্ণ মর্যাদা লাভ করার তৌফিক দাণ করুন। আমিন

তাহাজ্জুদ নামাযের রাকআত সংখ্যা:

সর্ব নিম্ন দু রাকআত। আর সর্বোচ্চ ৮ রাকআত পড়া উত্তম। তাহাজ্জুদের ৮ রাকাত নামায আদায় করার পরে, বিতর ৩রাকাত নামায পড়া। রাসুল (সাঃ) তাহাজ্জুদের নামায বেশিরভাগ সময় ৮রাকাত পরতেন এবং এঁর পর বিতরের নামায পরে মোট ১১রাকাত পূর্ণ করতেন।
১। তাহাজ্জুদ নামায বিতরসহ ১৩, ১১, ৯ কিংবা ৭ রাকাত পড়া যায় (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত ১০৬ পৃঃ)
২। প্রথমে দু’রাকাত ছোট ছোট সুরা মিলিয়ে হালকাভাবে পড়ে আরম্ভ করবে (মুসলিম, মেশকাত ১০৬ পৃঃ)
৩। অতঃপর দু’রাকাত করে, তাহাজ্জুদের নামায সাত রাকাত পড়তে চাইলে দু’সালামে চার রাকাত পড়ে তিন রাকাত বিতর পড়বে । (বুখারী, মেশকাত ১০৬ পৃঃ)
বিঃদ্রঃ- যদি এশার নামায পরে বিতরের নামায পড়ে থাকেন, তবে তাহাজ্জুত নামায পড়ার পড়ে বিতর নামায পড়ার দরকার নেই। তখন ২ রাকাত থেকে শুরু করে ৮রাকাত তাহাজ্জুত নামায পরলেই হবে।

Posts not found

তাহাজ্জুদ নামাযের আগে করণীয়ঃ

হুযাইফা (রাযিঃ) বলেন,

রাসুল (সাঃ) যখন তাহাজ্জুদ পড়তে উঠতেন তখন মিসওয়াক করতেন এবং আমাদেরকেও মিসওয়াক করার হুকুম দেয়া হত, আমরা যখন তাহাজ্জুদ পড়তে উঠতাম, অতঃপর নবী (সাঃ) অযু করতেন ।

(মুসলিম)

তারপর নীচের দু’আ ও তাসবীহগুলি দশবার করে পড়তেন । তারপর নামায শুরু করতেন (আবু দাউদ, মেশকাত ১০৮ পৃঃ)
(১) দশবার “আল্লাহু আকবার (আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ)
(২) দশবার আলহামদুলিল্লাহ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যই)
(৩) দশবার সুব্‌হানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী (আমি আল্লাহ প্রশংসার সাথে তাঁর পবিত্রতা ঘোষনা করছি)
(৪) দশবার সুব্‌হানাল মালিকিল কদ্দুস (আমি মহা পবিত্র মালিকের গুণগান করছি)
(৫) দশবার আসতাগফিরুলাহ (আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করছি)
(৬) দশবার লা ইলাহ ইল্লাল্লাহু (আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য আর কেউ নেই)
(৭) দশবার আল্লাহুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিন দীক্বিদ্দুনিয়া ওয়া দীক্বি ইয়াওমিল ক্বিয়ামাহ (হে আল্লাহ! আমি এই জগতের এবং পরকালের সঙ্কট থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি)

https://www.musafiron.com/product/%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%b2-%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%b2/

তাহাজ্জুদ নামাজে কোন কোন সূরা পড়া উত্তম:

তাহাজ্জুদ নামাজের আগে-পরে কোরআন শরিফ তিলাওয়াত করা খুবই উপকারী। এ সময় সুরা মুজাম্মিল, সুরা মুদ্দাচ্ছির, সুরা মুলক, সুরা ওয়াকিআহ, সুরা দুখান, সুরা আর রহমান, সুরা ইয়াসিন, সুরা হাশর ও সুরা কাহাফ এবং অন্যান্য সুরা তিলাওয়াত করা অত্যন্ত বরকতময় ও ফলদায়ক।
এটি দোয়া কবুলের সর্বশ্রেষ্ঠ্য সময়। প্রতি রাতে এ সময় আল্লাহ তাআলা প্রথম আসমানে নেমে আসেন এবং বান্দার ফরিয়াদ শোনেন।

আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,

“তারা রাত্রির সামান্য অংশই নিদ্রায় অতিবাহিত করত।”

(যারিয়াত: ১৭)

তাহাজ্জুদ সালা‌তের দোয়া:

রাসূলুল্লাহ (সঃ)- বলেন,

যখন তোমাদের কেউ রাত্রে জাগ্রত হয় ও নিম্নের দোআ পাঠ করে এবং আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে, তা কবুল করা হয়। আর যদি সে ওযূ করে এবং ছালাত আদায় করে, সেই ছালাত কবুল করা হয়’।

উচ্চারণ : “লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু; লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। সুবহা-নাল্লা-হি ওয়াল হামদু লিল্লা-হি ওয়ালা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াল্লা-হু আকবার; ওয়ালা হাওলা ওয়ালা ক্বুউওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ।” অতঃপর বলবে, ‘রবিবগফির্লী’ (প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা কর)। অথবা অন্য প্রার্থনা করবে।

অনুবাদ : আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁর জন্যই সকল রাজত্ব ও তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা এবং তিনিই সকল কিছুর উপরে ক্ষমতাশালী। মহা পবিত্র আল্লাহ। সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। আল্লাহ সবার চেয়ে বড়। নেই কোন ক্ষমতা নেই কোন শক্তি আল্লাহ ব্যতীত’।
(বুখারী, মিশকাত হা/১২১৩, মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১১৯৫; আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১২০০) এছাড়াও নিজের ভাল আমলের কথা বলে, যতটা সম্ভব কেবলা-মুখী হ‌য়ে দোয়া করা। দোয়ার কোন বিষয় গুরুত্বপূর্ন হলে ৩ বার করে বলা। মহানবী (সঃ) কুরাইশদের উপর বদ দোয়া করার সময় ৩ বার করে বলেছিলেন। দোয়া শেষে মুখে হাত বুলানো বিদআত ।
কারো জন্য দুয়া করতে হলেও সর্বপ্রথম নিজের জন্য দোয়া চাইতে হবে। ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত ও বিতর নামাজে, সাধারন নিয়মের বাহিরে, নিজ থেকে কোন দোয়া করা কিংবা সিজদায় যেয়ে কোন কথা বলার নিয়ম নেই। তাহাজ্জুদ বা নফল সালাতের সিজদায় যেয়ে কোন কুরআনী দোয়া পড়া যাবে না।
মহান আল্লাহর গুনাবলী ও আল্লাহর প্রশংসা করুন। বাস্তব জীবনে ও অন্তরে মহান আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলার মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা ও শুকরিয়া প্রকাশ করতে হবে। মহান আল্লাহর দয়ামূলক নামগুলো বলে, নিজের গুনাহর কথা স্বীকার করা ও ‘আস্তাগফেরুল্লাহ’ বলে তওবা করা ।
তাহাজ্জুদ/নফল সালাতে জান্নাতের জন্য, কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ, অসুস্থতা, সন্তানদের জন্য দোয়া, ন্যায় বিচার প্রার্থী, বিচার সংক্রান্ত ব্যাপারে মহান আল্লাহর দরবারে নিজের সমস্যার কথা বলুন।

পবিত্র রমজান মাসে তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব:

মা‌হে রমজান ইবাদতের মৌসুম। রমজানে সাহরির সুবাদে তাহাজ্জুদ পড়া খুবই সহজ। সাহরির সময়ই তাহাজ্জুদের সময়। তাই রমজানে তাহাজ্জুদের অভ্যাস গড়ে তোলা যেতে পারে। যেহেতু সাহরি খাওয়ার জন্য ছোট-বড় প্রায় সবাই ঘুম থেকে ওঠেন, তাই সবাইকে তাহাজ্জুদ পড়তে উৎসাহিত করা যায়।

আল্লাহ বলেন,

তারা শয্যা ত্যাগ করে আকাঙ্ক্ষা ও আশংকার সাথে তাদের প্রতিপালককে ডাকে এবং আমি তাদেরকে যে রুজী প্রদান করেছি, তা হতে তারা দান করে।

(সেজদা: ১৬)

তাহাজ্জুদ নামাজ মহানবী (সঃ) নিয়মিত পড়তেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় নবী (সঃ)-কে উদ্দেশ্য করে বলেন,

এবং রাত্রির কিছু অংশ তাহাজ্জুদ কায়েম করবে, ইহা তোমার এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়, তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে।

বনি ইসরাইল: ৭৯

ফরজ নামা‌জের বিপরী‌তে আরো অনেক ধরনের নামাজ যেমন সুন্নাত, ওয়াজিব, মুস্তাহাব, সুন্নাতে মুয়াক্কাদা, সুন্নাতে জায়িদাহ্, চাশতের সালাত, ইশরাকের সালাত, সালাতুত তসবিহ্, সালাতুত তওবা, তাহাজ্জুদের সালাত, ইসতিখারার সালাত ইত্যাদি। এসব নামা‌জের বিভিন্ন মর্যাদা রয়েছে। তবে এর মধ্যে সর্বোত্তম ও সর্বোৎকৃষ্ট নামাজ হচ্ছে সালাতুত তাহাজ্জুদ। তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত; অতিরিক্ত হিসেবে একে নফলও বলা হয়। এই নামাজ রাসুলুল্লাহ (সঃ)-এর জন্য অতিরিক্ত কর্তব্য ছিল। এর রাকাত সংখ্যা আট, বারো থেকে বিশ পর্যন্ত উল্লেখ পাওয়া যায়। চার রাকাত বা দুই রাকাত পড়লেও তা তাহাজ্জুদ হিসেবে পরিগণিত হবে। ত‌বে দুই রাকাত দি‌য়ে শুরু করাই স‌র্বোত্তম। এই নামাজকে ‘সালাতুল লাইল’ বা ‘কিয়ামুল লাইল’ নামাজও বলা হয়।
পাঁচ ওয়াক্ত নির্ধারিত নফলের মধ্যে তাহাজ্জুদ সর্বোৎকৃষ্ট আমল। তাহাজ্জুদ নামাজের সঙ্গে সাহরির কার্যত, শব্দগত ও অর্থগত মিল বা সম্পর্ক রয়েছে।

হজরত আলী (রঃ) বলেন:

যাঁরাই আল্লাহর নৈকট্য লাভে ঊর্ধ্বারোহণ করেছেন; তাঁরাই সাহার বা শেষ রাত জেগে তাহাজ্জুদ পড়েছেন। ।

(দিওয়ানে আলী (রঃ), নাহজুল বালাগা)

সূত্রঃ রোজ টিভি টুয়েনটি ফোর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

SHOPPING CART

close