আজকাল মুসলমানদের মাঝে যে রোগ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে, সেটি হল জাতীয়তা। আমি আমেরিকান, আমি বৃটিশ, আমি পাকিস্তানী, আমি বাংলাদেশী, আমি সৌদি ইত্যাদি। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় ফর্ম পূরণ করার সময় ও একটা ঘর মুসলমানদের ও পূরণ করতে হয়। আর সেটি হল জাতীয়তা। স্বভাবতইঃ নির্দ্বিধায় সবাই সেটা কোন কিছু মনে না করেই পূরণ করে দেয়। কিন্তু এর মাধ্যমে যে মুসলিম উম্মতের খাতা থেকে আমাদের সবার নাম কেটে যাচ্ছে তা আমাদের মাথায় নেই। জাতীয়তাকে আরবীতে বলা হয় আসাবীয়া, ইংরেজীতে Nationalism। এই জাতীয়তাবাদের কুফল সম্পর্কে কিছু হাদিস নিচে দেয়া হল।
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি লোকেদেরকে জাতীয়তাবাদের/গোত্রবাদের দিকে আহবান করে অথবা জাতীয়তাবাদের/গোত্রবাদে উন্মত্ত হয়ে ভ্রষ্টতার পতাকাতলে যুদ্ধ করে নিহত হলে সে জাহিলিয়াতের মৃত্যুবরণ করলো।” (মুসলিম ১৮৪৮,নাসায়ী ৪১১৪)
এছাড়া, আবু দাউদ (রহঃ) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি লোকদেরকে জাতীয়তাবাদের/গোত্রবাদের দিকে আহ্বান করে, অথবা এর জন্য যুদ্ধ করে, অথবা এর জন্য মৃত্যুবরণ করে, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।” (আবু দাউদ)
অন্য হাদীসে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে জাতীয়তাবাদ/গোত্রবাদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলে, “এটা ত্যাগ কর, কারণ এটি নষ্ট/দুর্গন্ধময়/পচা।” (বুখারী ও মুসলিম)
এছাড়া আবু দাউদ ও ইমাম তিরমিজীর বর্ণনা অনুসারে,
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “……লোকদের উচিৎ তাদের জাতিগত গৌরব বর্জন করা কারণ তা হলো জাহান্নামের কয়লার মাঝে অন্যতম কয়লা। তারা যদি এটা ত্যাগ না করে, তাহলে আল্লাহপাকের কাছে তাদের অবস্থা, নাক দিয়ে গোবর ঠেলে নিয়ে যাওয়া গুবরে পোকার চেয়েও নিকৃষ্ট।” (আবু দাউদ, তিরমিজী)
সহীহ হাদীস গ্রন্থ মিশকাত আল মাসাবিথ এ এরশাদ হয়েছে,
“যে জাতীয়তাবাদের দিকে আহ্বান করে সে যেন তার পিতার যৌনাঙ্গ কামড়ে ধরে আছে।” (মিশকাত আল মাসাবিথ)।
বিস্তারিত জানার জন্য ভিডিওটি দেখুন।