শাইখ ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) এর ছাত্র যারা ছিলেন, তাদের মাঝে যার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে তিনি হলেন শাইখ ইবনে ক্বাইয়িম (রহঃ)। তার ওস্তাদের ন্যায় তিনি ও ছিলেন হাম্বলী মাযহাবের অন্যতম বড় আলেম। তিনি তার ওস্তাদ ইবনে তাইয়িমা (রহঃ) এর সাথে ২১ বছর বয়সে সাক্ষাত করেন এবং এরপর বাকি জীবন তাঁর ছাত্র হিসেবেই সাথে থাকেন।
তিনি তাঁর ওস্তাদের সাথে জেলেও গিয়েছেন। তিনি তাঁর জীবনের অমূল্য অভিজ্ঞতার আলোকে কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক অনেক কথাই বলে গিয়েছেন। তাঁর এসব বক্তব্যের মধ্যে বিখ্যাত দশটি উক্তি নিচে দেয়া হলঃ
“দ্বীনি জ্ঞানের যদি কোন সুরত বা চেহারা থাকতো, তাহলে সেটার উজ্জলতা সূর্য এবং চাঁদের চাইতে অনেক বেশী হতো।”
“যদি আপনার বেশী বেশী দোয়া করার তৌফিক হয়, তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ আপনাকে ভালবাসেন এবং আপনার কল্যাণ হবে।”
“যখন কারো সঠিক জ্ঞান থাকেনা, তখন তার কাছে মাটি দিয়ে স্বর্ণ বলে চালিয়ে দেয়া সম্ভব।”
“গুনাহ একটা মানুষকে দারীদ্র এবং অনুতাপে পুড়িয়ে ছাড়ে।”
“মানুষের কথা হচ্ছে তার দাসের মতো। কিন্তু যখন এটি জবান থেকে বের হয়ে যায়, সঙ্গে সঙ্গে তা সেই মানুষকে দাসে পরিণত করে দেয়।”
“মাছের জন্য পানি যেমন, মুমিনের অন্তরের জন্য যিকির তেমন। কখনও দেখেছেন কি পানি ছাড়া মাছের কি অবস্থা হয়?”
“আল্লাহকে আপনি কতটুকু ভালবাসেন সেটা যাচাই করতে চান? নিজের অন্তরে তাকান আর দেখুন সেখানে কোরআনের প্রতি কী পরিমাণ ভালবাসা আছে। আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন।”
“যখন মানুষের অন্তর আল্লাহর দিকে রুজ্জু থাকে তখন সেটা প্রশান্তি পায়। আর যখন সেটা আল্লাহ ছাড়া অন্য যে কোন কিছুর দিকে রুজ্জু থাকে, তখন সেটি দুঃখ ভারাক্রান্ত থাকে, কখনই প্রশান্তি পায় না।”
“যতক্ষণ একজন মানুষ সালাত আদায় করে, ততক্ষণই সে আল্লাহর দরজায় কড়া নাড়ে, আর যে কেহই আল্লার দরজায় কড়া নাড়ে, আল্লাহর তার জন্য অবশ্যই দরজা খুলে দেন।”
“যখন আদমকে জান্নাত থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল, শয়তান খুশী হয়েছিল। কিন্তু শয়তান এটা উপলব্ধি করেনি যে, যখন ডুবুরী সমুদ্রে ডুব দেয়, সে মনি মুক্তা আহরণ করে আবার জেগে উঠে”