অন্তরের পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক ২০ টি হাদিস Leave a comment

হাদিস নং-১| দ্বীন রক্ষাকারীর মর্যাদা

নু‘মান ইবনু বশীর (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ

আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি যে, ‘হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট। আর এ দু’য়ের মাঝে রয়েছে বহু সন্দেহজনক বিষয়- যা অনেকেই জানে না। যে ব্যক্তি সেই সন্দেহজনক বিষয়সমূহ হতে বেঁচে থাকবে, সে তার দ্বীন ও মর্যাদা রক্ষা করতে পারবে। আর যে সন্দেহজনক বিষয়সমূহে লিপ্ত হয়ে পড়ে, তার উদাহরণ সে রাখালের ন্যায়, যে তার পশু বাদশাহ্ সংরক্ষিত চারণভূমির আশেপাশে চরায়, অচিরেই সেগুলোর সেখানে ঢুকে পড়ার আশংকা রয়েছে। জেনে রাখ যে, প্রত্যেক বাদশাহরই একটি সংরক্ষিত এলাকা রয়েছে। আরো জেনে রাখ যে, আল্লাহর যমীনে তাঁর সংরক্ষিত এলাকা হলো তাঁর নিষিদ্ধ কাজসমূহ। জেনে রাখ, শরীরের মধ্যে একটি গোশতের টুকরো আছে, তা যখন ঠিক হয়ে যায়, গোটা শরীরই তখন ঠিক হয়ে যায়। আর তা যখন খারাপ হয়ে যায়, গোটা শরীরই তখন খারাপ হয়ে যায়। জেনে রাখ, সে গোশতের টুকরোটি হল অন্তর।

সহীহ বুখারী-৫২

হাদিস নং-২। পরিষ্কার অন্তর

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

আমি রাসুল (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল, কোন মানুষেরা সবচেয়ে উত্তম?

রাসুল (সাঃ) উত্তরে বললেন, ” যার অন্তর পরিষ্কার এবং যার যবান সত্য।”

আমরা আরয করলাম, ” হে আল্লাহর রাসুল(সাঃ), সত্য যবান এর মানে আমরা বুঝেছি, কিন্তু পরিস্কার অন্তর কি? “

রাসুল (সাঃ) উত্তরে বললেন, ” যে অন্তর সর্বদা আল্লাহর দিকে রুজু হয়ে থাকে এবং খাঁটি, যে অন্তরে কোন গুনাহ, কোন হিংসা এবং আক্রোশ নেই।”

আমরা জিজ্ঞেস করলাম, ” এর আলামত কি?”

রাসুল (সাঃ) বললেন, ” দুনিয়াকে ঘৃণা করা এবং আখিরাতকে ভালবাসা।”

রাসুল (সাঃ) কে আবার জিজ্ঞাসা করা হল, কার ভেতর এর আলামত পাওয়া যাবে?

রাসুল (সাঃ) এরশাদ করলেন, সেই মুমিনের ভেতর, যার আখলাক বা চরিত্র উত্তম।

শুয়াব আল ঈমান, ৪৪৫৭, আলবানী সহীহ বলেছেন

হাদিস নং-৩। ধণাঢ্য বনাম দারীদ্র

আবু যর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) এরশাদ করেন,

হে আবু যর! তুমি কি মনে কর ধনের আধিক্য হল ধণাঢ্যতা? আমি বললাম,জ্বী। রাসুল (সাঃ) আবার বললেন, তুমি কি মনে কর সম্পদের কমতি হল দারীদ্র? আমি বললাম,জ্বী। এরপর রাসুল (সাঃ) ৩ বার বললেন, আমিরী বা ধণাঢ্যতা মানুষের অন্তরে, দারীদ্র ও মানুষের অন্তরে। যে অন্তরে ধনী, তাকে কোন কিছুই ক্ষতি করতে পারবেনা, চাই দুনিয়াতে যা কিছুই হয়ে যাক না কেন। আর যে অন্তরে দরীদ্র, কোন কিছুই তাকে সন্তুষ্ট করতে পারবেনা, যদিও দুনিয়াতে তার অনেক বেশী থাকে। নিশয়ই সে তার আত্নার লালসার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আল মু’যাম আল কাবীর, ১৬১৮, আলবানী সহীহ বলেছেন।

হাদিস নং-৪। অপরকে প্রিয় বস্তু দান করা

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেছেন,

কোন বান্দা প্রকৃত ঈমান অর্জন করতে সক্ষম হবেনা; যতক্ষন না সে অপর ভাইয়ের জন্য তাই পছন্দ করে, যা নিজের জন্য পছন্দ করে থাকে।

সহীহ ইবনে হিব্বান, ২৩৮, আলবানী সহিহ বলেছেন।

হাদিস নং-৫। অন্তরকে হিংসা বিদ্বেষ থেকে সকাল ও বিকেল মুক্ত রাখা

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ

হে বৎস! যদি তুমি পার, সকালে ও বিকালে তোমার অন্তরে কারো প্রতি বিদ্বেষ থাকবে না তবে তাই কর। তারপর তিনি বললেন, হে বৎস, এ হল আমার রীতি। যে ব্যক্তি আমার রীতি যিন্দা করল সে যেন আমাকে যিন্দা করল। আর যে আমাকে যিন্দা করল সে জান্নাতে আমার সঙ্গে থাকবে।

তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬৭৮, হাসান হাদিস

হাদিস নং-৬। অন্তর হতে হবে পাখীর মতো

হযরত আবু হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেছেন

যাদের অন্তর পাখীর অন্তরের মতো, তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে।

মুসলিম, ২৮৪০

ইমাম নববী বলেছেন, এর অর্থ হচ্ছে যারা আল্লাহর উপর পূর্ণ তাওয়াক্কুল করে এবং যাদের অন্তর খুবই নরম ও কোমল।

হাদিস নং-৭। ঈমানের ছোঁয়ায় অন্তর নরম হয়

আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) একবার তাঁর হাত নিজ হাতে নিয়ে বললেন,

হে আবু উমামা! মুমিনতো তারাই, যারা আমার অন্তরকে নরম করে দেয়।

আল মু’জাম আল কাবীর, ৭৫৩৯, আলবানী একে যায়্যিদ (খুব ভাল) বলেছেন।

হাদিস নং-৮

হযরত আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, একবার রাসুল (সাঃ) এর কাছে এক ব্যক্তি এসে তার অন্তরের কাঠিণ্যের ব্যাপারে অভিযোগ করলে, রাসুল (সাঃ) ব্যক্তিটিকে বললেন,

তুমি যদি তোমার অন্তরকে নরম করতে চাও, তাহলে গরীবকে খানা খাওয়াও আর এতিমের মাথায় হাত বুলাও।

মুসনাদে আহমদ, ৭৫২২

হাদিস নং-৯। আসল মুজাহিদ কে?

ফাযালা ইবনু উবাইদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ

প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির সকল প্রকার কাজের উপর সীলমোহর করে দেওয়া হয় (কাজের পরিসমাপ্তি ঘটে)। কিন্তু আল্লাহ্ তা’আলার রাস্তায় পাহারাদানরত অবস্থায় যে লোক মৃত্যুবরণ করে কিয়ামাত পর্যন্ত তার কর্মের সাওয়াব বাড়ানো হতে থাকে এবং তিনি কবরের সকল ফিতনা হতে নিরাপদে থাকেন। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ যে লোক নিজের প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জিহাদ করে সে-ই আসল মুজাহিদ।

সুনানে তিরমিযী, ১৬২১

হাদিস নং-১০। অন্তর পরিশুদ্ধির দুয়া

যায়েদ ইবনে আরক্বাম রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দো‘আ পাঠ করতেন,

اَللهم آتِ نَفْسِي تَقْوَاهَا، وَزَكِّها أَنْتَ خَيْرُ مَنْ زَكَّاهَا

হে আল্লাহ আমার আত্মায় তোমার ভীতি প্রদান কর এবং তাকে পবিত্র কর, তুমিই শ্রেষ্ঠ পবিত্রকারী।

সহীহ মুসলিম, ২৭২২

হাদিস নং-১১। মীযানে খুব ভারী যে আমল

হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, একবার রাসুল (সা:) এর সাথে হযরত আবু যর (রাঃ) এর সাক্ষাৎ হলে, রাসুল (সাঃ) তাকে ( আবু যর) বলেন,

হে আবু যর! আমি কি তোমাকে দুটি আমলের কথা বলব না, যা বহনে হাল্কা, কিন্তু মীযানের পাল্লায় অনেক ভারী? আবু যর (রাঃ) বললেন, অবশ্যই হে আল্লাহর রাসুল! এরপর রাসুল (সাঃ) বললেন, ” তোমার আখলাক্বকে আবশ্যই সুন্দর করবে এবং দীর্ঘ সময় চুপ থাকবে। যে সত্তার হাতে আমার প্রাণ, তাঁর কসম করে বলছি, আল্লাহর কাছে এই দুটির চেয়ে প্রিয় কোন আমল নেই।”

আল মু’যাম আল আওসাত, ৭২৮৭

হাদিস নং-১২। আল্লাহ তা’আলার দুই আঙ্গুলের মধ্যে সমস্ত অন্তর অবস্থিত

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দু’আ অধিক পাঠ করতেনঃ  হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে তোমার দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত (দৃঢ়) রাখো। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। আমরা ঈমান এনেছি আপনার উপর এবং আপনি যা নিয়ে এসেছেন তার উপর। আপনি আমাদের ব্যাপারে কি কোনরকম আশংকা করেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, কেননা, আল্লাহ তা’আলার আঙ্গুলসমূহের মধ্যকার দুটি আঙ্গুলের মাঝে সমস্ত অন্তরই অবস্থিত। তিনি যেভাবে ইচ্ছা তা পরিবর্তন করেন।

সুনান আত তিরমিযী, ২১৪০

হাদিস নং-১৩। একে অন্যকে ভালবাসা

হযরত আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেছেন

সেই সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ! তোমরা কস্মিন কালেও জান্নাতে প্রবেশ করবেনা, যতক্ষণ না আল্লাহর কাছে পুরোপুরী আত্নসমর্পণ করবে; আর তোমরা ততক্ষণ আল্লাহর কাছে আত্নসমর্পণ করবেনা, যতক্ষণ না একে অপরকে ভালবাসবে। তোমরা বেশী বেশী সালামের প্রসার ঘটাও, তাহলে তোমাদের মাঝে ভালবাসা সৃষ্টি হবে। ঘৃণা থেকে দূরে থাক, কেননা এটা ধারালো ক্ষুর। আমি বলছিনা এটা চুল কামিয়ে দেয়, বরং এটা দ্বীনকে ধংস করে দেয়।

আদাবুল মুফরাদ, ২৬০, হাসান

হাদিস নং-১৪। অহংকারের বিপদ

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেনঃ

যার অন্তরে সরিষা দানা পরিমান অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবেনা।

মুসনাদে আহমদ, ৬৫২৬, সহীহ

হাদিস নং-১৫। পরস্পরের বিবাদ মিটিয়ে নেয়া

হযরত আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেনঃ

প্রতি সপ্তাহে সোম এবং বৃহস্পতিবার জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়। মহান আল্লাহপাক তাঁর ঐ সকল বান্দাদের ক্ষমা করে দেন, যারা শিরক করেনি। তবে সেই দুই ব্যক্তি ব্যতীত, যারা পরস্পরের সাথে শত্রুতা পোষণ করে। তাদের ব্যাপারে বলা হয়ে থাকে, ” এই দুজনেরটা বাকি রাখ, যতক্ষণ না তারা মীমাংসা করে, এই দুজনেরটা বাকি রাখ, যতক্ষণ না তারা মীমাংসা করে।

সহীহ মুসলিম, ২৫৬৫

হাদিস নং-১৬। পেট এবং কামনার বিপদ

আবু বারযাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ

নিশ্চয়ই, আমি তোমাদের জন্য যে দুটি বিষয়ে সবচেয়ে বেশী ভয় করি তাহলো, তোমাদের ক্ষুধা ও কামনার প্রলোভন এবং নিজের নফসের বিভ্রান্তি।

মুসনাদে আহমদ, ১৯২৭৪

হাদিস নং-১৭। অন্তরের ওয়াসওয়াসা দূর করে সাওম

মুহাম্মদ ইব্‌ন বাশ্‌শার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এক সাহাবী থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,

…………আমি কি তোমাদের অন্তরের ওয়াস্‌ওয়াসা বিদূরীত করার আমল সম্পর্কে অবহিত করব না? তা হল প্রত্যেক মাসের তিন দিন সাওম (রোযা) পালন করা।

সুনান আন নাসাই, ২৩৮৫, সহীহ

হাদিস নং-১৮। শত্রুতা দূর করার দুয়া

মু’আয ইবনু জাবাল (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ) এভাবে দুয়া করতেনঃ

হে আল্লাহ্‌! আপনি আমাদের অন্তরগুলোকে একত্র করুন, আমাদের বিবাদ মিটিয়ে দিন, আমাদের শান্তির দিকে হেদায়াত করুন, আওন্ধকার হতে আলোয় আনুন, আমাদেরকে বদগুনামী থেকে দূরে রাখুন, বাহ্যিকভাবে এবং আন্তরিকভাবে, এবং বরকত দিন আমাদের শ্রবণশক্তিতে, দৃষ্টিশক্তিতে, অন্তরে, আমাদের স্ত্রীদের ভিতর, আমাদের সন্তানদের ভিতর। আমাদের তাওবা কবুল করুন। আমরা শুধু আপনার উপরই ভরসা করি, আপনি আতিশয় দয়ালু। আপনার নিয়ামতের শুকুরকারী বানান, প্রশংসাকারী বানান এবং আপনার নিয়ামত পূর্ণ মাত্রায় আমাদের দান করুন।

সুনান আবু দাউদ, ৯৬৮, সহীহ

হাদিস নং-১৯। আল্লাহর ভালবাসা লাভের দুয়া

“হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে ভাল ও কল্যাণকর কাজ সম্পাদনের, মন্দ কাজসমূহ বর্জনের, দরিদ্রজনদের ভালবাসার তাওফীক চাই, তুমি আমায় ক্ষমা কর ও দয়া কর। তুমি যখন কোন গোত্রকে বিপদে ফেলার ইচ্ছা কর তখন তুমি আমাকে বিপদমুক্ত রেখে তোমার কাছে তুলে নিও। আমি প্রার্থনা করি তোমার ভালবাসা, যে তোমায় ভালবাসে তার ভালবাসা এবং এমন কাজের ভালবাসা যা তোমার ভালবাসার নিকটবর্তী করে দেয়।”

সুনান তিরমিযী, ৩২৩৫

হাদিস নং-২০। অন্তরের হিদায়াতের দুয়া

ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুআ করতেন এবং বলতেনঃ

“হে আল্লাহ! আমাকে সহযোগিতা কর এবং আমার বিরুদ্ধে (কাউকে) সহযোগিতা করো না, আমাকে সাহায্য কর এবং আমার বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্য করো না, আমার জন্য পরিকল্পনা এঁটে দাও এবং আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পনা এঁটো না, আমাকে হিদায়াত দান কর, আমার জন্য হিদায়াতের পথ সহজসাধ্য কর এবং যে লোক আমার উপর যুলম ও সীমালঙ্ঘন করে তার বিরুদ্ধে আমাকে সহযোগিতা কর। হে আল্লাহ! আমাকে তোমার জন্য কৃতজ্ঞ বান্দা কর, তোমার জন্য অধিক যিকরকারী, তোমাকে বেশি ভয়কারী, তোমার অনেক আনুগত্যকারী, তোমার কাছে অনুনয়-বিনয়কারী ও তোমার দিকে প্রত্যাবর্তনকারী কর। হে আমার প্রভু! আমার তাওবাহ কবুল কর, আমার সকল গুনাহ ধুয়ে-মুছে ফেল, আমার দু’আ কবুল কর, আমার সাক্ষ্য-প্রমাণ বহাল কর, আমার যবানকে দৃঢ় কর, আমার অন্তরে হিদায়াত দান কর এবং আমার বুক হতে সমস্ত হিংসা দূর কর”।

সুনান তিরমিযী, ৩৫৫১

https://islamqa.info/en

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

SHOPPING CART

close